• ঢাকা শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
logo
মশক নিধনে ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি: হাসান আরিফ
মশক নিধনে গত ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। রোববার (৩ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বংশাল নাজিরাবাজার এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। হাসান আরিফ বলেন, মশক নিধনে গত ৫৩ বছরে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে কখনও কোনো কমিটিও গঠিত হয়নি। তিনি জানান, মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় বিভাগ কর্তৃক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। একটা নির্দিষ্ট স্থানে কী পরিমাণ কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটালে মশক নিধন হবে, তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিরূপণ করা কঠিন। কিংবা কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটানোর ফলে ওই স্থানে কী পরিমাণ মশক নিধন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। এসব তথ্য নির্ভুলভাবে পেতে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উভয় পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। মশক নিধন আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং শেষে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনে যান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। তিনি সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ফগিং এবং লার্ভিসাইড ছিটানো অনলাইনে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আরটিভি/এফএ-টি
০৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:২১

নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হাশিম সাফিউদ্দিনের খোঁজ মিলছে না
ইসরায়েলের বিমনা হামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে হাশেম সাফিউদ্দিনের নাম উঠে আসে। এমন আলোচনার মধ্যেই গত ৩ অক্টোবর সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর থেকে সাফিউদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। শনিবার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যম দুটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার থেকে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য শীর্ষনেতা হাশিম সাফিউদ্দিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।  হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন আহত বা নিহত হয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলো কোনো তথ্য দেয়নি। হিজবুল্লাহও এখন পর্যন্ত সাফিউদ্দিন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। জানা গেছে, হিজবুল্লাহর দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাফিউদ্দিন। তিনি নিহত হাসান নাসরুল্লাহর চাচাত ভাই। ধারণা করা হচ্ছে, নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব পাবেন তিনি। সাফিউদ্দিন বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান। এদিকে, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দুদিন পরেই লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পরদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের। জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা চালিয়ে আসছিল হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান। চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যু এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। আরটিভি/আরএ-টি
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:০৯

হাসান নাসরুল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ
ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। খবর আলজাজিরার বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাদের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। ৩২ বছর ধরে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। একজন রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসাবে কাজ করেছেন। তার সমর্থকদের মধ্যে শিয়া নেতা ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অস্বীকার করার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। তার শত্রুদের কাছে, তিনি ছিলেন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে ইরানের প্রক্সি। হাসান নাসরুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ক্ষেত্রে বড় ব্যক্তিত্ব। তিনি হিজবুল্লাহকে সংগঠিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন। এর আগে, ইরানপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছিল ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। আরটিভি/এমএ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩১

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ইরানপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। খবর আল জাজিরার।  তবে ওই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো কিছু পরিষ্কারভাবে জানানো না হলেও তার সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহ এই শীর্ষ নেতার প্রচুর সমর্থক রয়েছেন। বিশেষ করে, লেবাননে শিয়া নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অনেক। সেখানকার লোকজন তাকে বাবার মতো সম্মান করেন। তিনি সেখানে এমন একজন ধর্মীয় নেতা এবং সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব যিনি লেবাননের লোকজনের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছেন। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিমান হামলার ঘটনায় ইব্রাহিম আকিলসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র হিজবুল্লাহ নেতা নিহত হন। সে সময় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করা হয়। তবে কীভাবে হিজবুল্লাহর ওই শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। এদিকে তেল আবিবে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে এই নজিরবিহীন হামলায় হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।  কে এই হাসান নাসরুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হাসান নাসরুল্লাহ লেবানন ভিত্তিক শিয়া ইসলামি মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ আন্দোলনের প্রধান নেতা। ইসরায়েলের আততায়ী হামলার আশঙ্কায় তিনি খুব কম সময়ই প্রকাশ্যে আসতেন। গত কয়েক বছরেরর মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা গেছে। ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলা হাসান নাসরুল্লাহ লেবাননে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক ও সামরিক উত্থানের অন্যতম পথিকৃৎ। সব সময় নেপথ্যে থাকা এই ব্যক্তির কারণেই আজ মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ বর্তমান অবস্থানে এসেছে। সংগঠনটির প্রভাব রয়েছে ইরাক ও ইয়েমেনেও। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা এর সামরিক বিভাগ সরাসরি ইরানের কাছ থেকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র পেয়ে আসছে। আরটিভি/এআর  
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৭

বৃহস্পতিবার যোদ্ধাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন হিজবুল্লাহ প্রধান
নিজ যোদ্ধাদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভাষণ দেবেন লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পেজার বিস্ফোরণে বহু হতাহতের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লেবাননের বৈরুতজুড়ে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভাষণ দিতে যাচ্ছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। তার এই ভাষণ থেকে নতুন দিক নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হাসিম সাফিদ্দিন।  তিনি জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েল পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের যেসব যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, তাদের হত্যার কঠোর ও রক্তক্ষয়ী প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এসব হামলার ব্যতিক্রম শাস্তি হবে। এটি হবে রক্তক্ষয়ী ব্যতিক্রম শাস্তি। কাল হিজবুল্লাহর নেতা কথা বলবেন এবং তিনিই সব খোলাসা করবেন। আমরা ইসরায়েলি শত্রুদের বিরুদ্ধে নতুন পরিস্থিতি ও নতুন দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকব। হিজবুল্লাহর এই নেতা আরও বলেন, শত্রুদের জানা উচিত আমরা পরাজিত নই। আমরা ভাঙব না। আমরা সরেও যাব না এবং শত্রুরা যা করছে আমরা তার দ্বারা প্রভাবিতও হব না। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ কী নির্দেশনা দেন এ নিয়ে এখন লেবাননের সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে আছেন। যদিও গত এক বছর ধরে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে বড় ধরনের কোনো যুদ্ধে জড়িত না হতে চাইছেন তিনি। তবে গতকাল ও আজ ইসরায়েল যা করেছে সেটি তার অবস্থানকে পরিবর্তন করে দিতে পারে কি না তা নিশ্চিত নয়। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল আরটিভি/একে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৮

জুয়েল ভাই, শান্তিতে থাকুন: এলিটা
সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ৩০ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। পরে ওই দিন তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। প্রয়াত এই শিল্পীকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরেক শিল্পী এলিটা করিম। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, প্রিয় হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ভাই, শান্তিতে থাকুন। মহান আল্লাহ আপনাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন।  এলিটা আরও বলেন, জুয়েল ভাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা মানুষ ছিলেন। এবং আমি খুবই আনন্দিত যে, আমি তাকে এই কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সঙ্গীতা আহমেদ আন্টির জন্য দোয়া রইল। পরিবারের জন্য প্রার্থনা কামনা করছি।   প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে জুয়েলের। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।
০২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৩

আপনি থাকবেন আমাদের বিনীত প্রার্থনায়: সুমী
‘সেদিনের এক বিকেলে’, ‘চিলেকোঠায় এক দুপুরে’, ‘ওগো চন্দ্রদ্বীপের মেয়ে’, ‘কোথায় রাখো আমাকে’ ও ‘ফিরতি পথে’ শিরোনামের গানগুলো আর কখনও শোনা যাবে না হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের কণ্ঠে। কারণ, ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে এই শিল্পী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রয়াত এই শিল্পীকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরেক শিল্পী শারমীন সুলতানা সুমী। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, আপনার অসাধারণ সব গান কৈশোরে এক দুর্দান্ত সময় উপহার দিয়েছিল আমাদের। প্রয়াত শ্রদ্ধেয় আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের কথা-সুরে কী সুন্দর সব গান আপনার ইউনিক কণ্ঠে! আজ আপনিও চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!  সুমী আরও বলেন, আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন। আপনি থাকবেন আমাদের বিনীত প্রার্থনায়। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে জুয়েলের। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।
০১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৯

জুয়েলের পথচলাটাই ছিল সুন্দর: ফাহমিদা নবী
‘সেদিনের এক বিকেলে’, ‘চিলেকোঠায় এক দুপুরে’, ‘ওগো চন্দ্রদ্বীপের মেয়ে’, ‘কোথায় রাখো আমাকে’ ও ‘ফিরতি পথে’ শিরোনামের গানগুলো আর কখনও শোনা যাবে না হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের কণ্ঠে। কারণ, ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে এই শিল্পী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের সংগীতানুষ্ঠানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  গণমাধ্যমে নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেছেন, জুয়েল ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে গেল, ভাবতেই পারছি না। আমাদের সবাইকে তো একদিন চলে যেতে হবে। শাফিন ভাইয়ের পরপরই জুয়েলের মৃত্যু! একসঙ্গে দুটি মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খারাপ লাগছে। আমরাও শক্ত হচ্ছি। আমাদেরও চলে যেতে হবে।  তিনি আরও বলেছেন, জুয়েলের কিছু গান আছে এখনও শ্রোতারা মনে রেখেছে। সে সবসময়ই ভালো গান গাওয়ার চেষ্টা করত। বিরহের গানই বেশি গাইত। প্রত্যেকটি গানই একটি মাত্রা রাখে। গানের কথা, সুরে ভিন্নতার ছাপ ছিল।  ‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’ গানের এই শিল্পী বলেন, আমার খালুর (কাওসার আহমেদ চৌধুরী) বাসায় জুয়েলকে প্রথম দেখি। ১৯৯৮ সালের কথা। খালু বললেন, ‘একটা ছেলে গান ভালোবাসে, গান গাইতে চায়’। ওই দিনই শুনলাম জুয়েলের কণ্ঠের গান। কি মিষ্টি গলা! ধীরে ধীরে আমরা কলিগ হলাম। তার ইভেন্টেও কিছু কাজ করেছি। লন্ডনে জুয়েল কিছুদিন ছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানেও দেখা হয়েছিল।  ফাহমিদা নবী বলেন, আমার উপস্থাপনায় ‘সুরের আয়না’ নামে একটি অনুষ্ঠানে তাকে ডেকেছিলাম। অনেক কথা হলো সেই অনুষ্ঠানে। অসাধারণ কিছু গান শুনলাম। তার অস্থিরতায় মিশে যাওয়ার মানসিকতা কখনই ছিল না। পথচলাটাই ছিল সুন্দর। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে জুয়েলের। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।
৩১ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫৩

সারাটা জীবন খুব মিস করব জুয়েল ভাইকে: বাপ্পা মজুমদার
ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদকে হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। এর মধ্যেই এলো আরেক দুঃসংবাদ। সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত এই শিল্পীকে নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে স্মৃতি কথা লিখেছেন সংগীত তারকা বাপ্পা মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ১৯৯২ সালে জুয়েল ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা শাহবাগের আজিজ মার্কেটে। জুয়েল ভাইয়ের অফিস ছিল সেখানে। ওখানেই তার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ, পরিচয় এবং সখ্য। একটা সময় সেখানে নিয়মিতই যাতায়াত করতাম। তার সঙ্গে আমি বাজাতাম। আমিও তখন একটু-আধটু গান করতাম। জুয়েল ভাইয়ের উদ্যোগেই আমার প্রথম অ্যালবাম করা এবং প্রকাশ করা। অ্যালবামের নাম ‘তখন ভোরবেলা’। সেই অ্যালবাম দিয়েই শিল্পী বাপ্পা মজুমদার হিসেবে আমার পথচলা শুরু।  বাপ্পা মজুমদার আরও লিখেছেন, জুয়েল ভাইয়ের মাধ্যমেই আমার পরিচয় হয় সঞ্জীব চৌধুরীর সঙ্গে। তারপরেই তো দলছুটের জন্ম। মা, বাবা আর বড়দার পরে আমার জীবনে দুজন মানুষকে আমার মেন্টর হিসেবে বিবেচনা করি। একজন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, অন্যজন সঞ্জীব চৌধুরী। আমার পেশাগত জীবনে এই দুজন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি।  এই সংগীত তারকা লিখেছেন, আমার দেখা অন্যতম আর অসম্ভব ভালো একজন মানুষ হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। একজন অসাধারণ বন্ধু, একজন অসাধারণ ভাই। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যক্তিত্ব। আর গায়ক জুয়েলের কথা তো বলাই বাহুল্য। এত দুর্দান্ত গায়কি তার। বাংলাদেশে তার মতো কণ্ঠ আর দ্বিতীয়টি পাওয়া মুশকিল। একজন অসম্ভব উঁচুমানের নির্মাতা। জুয়েল ভাইয়ের জন্য আমার প্রথম সুর করা গানটির শিরোনাম ‘আমার আছে অন্ধকার’। (আইয়ুব) বাচ্চু ভাই গানটির সংগীত আয়োজন করেছিলেন। এই নামেই অ্যালবাম করেছিলেন জুয়েল ভাই। এটা ছিল অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক। এরপর আরও অনেক গান করেছি তার জন্য। তার শেষ অ্যালবামটিও আমার করা, আমার প্রোডিউস করা।  সবশেষে বাপ্পা আরও লিখেছেন, অল্প কদিন আগেই তার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে। কথা বেশি দূর এগোয়নি। তিনি আমাকে মেসেজ দিয়েছিলেন, ‘বাপ্পা, আমরা এ নিয়ে পরে কথা বলি। কারণ আমার সারা শরীরে তীব্র ব্যথা হচ্ছে। আমি ব্যথা সহ্য করতে পারছি না।’ এরপরে তার সঙ্গে আর কথাও হয়নি, দেখাও হয়নি। যখন হাসপাতালে গিয়েছিলাম, তখন তিনি আইসিইউতে। ডাক্তাররা তখন কাউকেই অ্যালাউ করেননি। মন থেকে চাইছিলাম, জুয়েল ভাই যেন চলে না যান, সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন আমাদের মাঝে। তা আর হলো না। সারাটা জীবন খুব মিস করব জুয়েল ভাইকে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে জুয়েলের। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।
৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়